২০৬০ সালে ধ্বংস হবে পৃথিবী

২০৬০ সালে ধ্বংস হবে পৃথিবী

বিজ্ঞানীদের ধারনা  ২০৬০ সালে ধ্বংস হবে পৃথিবী


বিজ্ঞানীদের ধারণা 2060 সালে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে । এই নিয়ে বিশ্ব বিখ্যাত পদার্থবিদ স্টিফেন হকিং ও ভবিষ্যৎবাণী করে গয়েছেন। 

পৃথিবীকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছেন রীতিমতো। এই গবেষণার মাধ্যমে উঠে এসেছে বেশ কিছু অবাক করা তথ্য। 

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন ঠিক এই এই কারণে ধ্বংস হয়ে যাবে পৃথিবী ঃ 

মানব সভ্যতার বিলুপ্তি

প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে স্থিতিশীল হয়ে উঠবে মানুষের জনসংখ্যা এমনটাই দাবি বিজ্ঞানিদের। প্রযুক্তির প্রতি মানুষ  এতটাই অভভস্থ হয়ে  উঠবে যার ফলে মানব সভ্যতার দিন শেষ হয়ে যাবে।

বিশ্বজুড়ে রাজত্ব করবে রোবট রা এমনকি প্রফেসর হকিং এ কথাও জানিয়েছেন। বিজ্ঞানীদের মতে মানুষের হাতে তৈরি রোবট মানব সভ্যতা ধ্বংস করবে। ফলে পৃথিবী থেকে একটা সময় মানবজাতির বিলুপ্তি ঘটবে।

আগ্নেয়গিরি

সারা পৃথিবী জুড়ে রয়েছে কয়েক শত আগ্নেয়গিরি। যার মধ্যে রয়েছে সুপ্ত এবং জীবন্ত আগ্নেয়গিরি যার সংখ্যাটা ৫০০ এর বেশি। বিজ্ঞানীদের একাংশের দাবি, সুপার আগ্নেয়গিরি জেগে উঠলে তার পরিণাম হবে ভয়াবহ। এই আগ্নেয়গিরির মধ্যে এমন চারটি বিশেষ আগ্নেয়গিরি রয়েছে যা চোখের পলকে পুরো পৃথিবী কে গুঁড়িয়ে দিতে পারে। এ কারণেই এই আগ্নেয়গিরিকে সুপার আগ্নেয়গিরি বলা হয়। এই চারটি আগ্নেয়গিরি হল ঃ 

1) Japan's Aira Caldera

2) Taupo Volcano

3) Yellowstone

4) Lake Toba

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আগ্নেয়গিরি হল আমেরিকার ইয়েলোস্টোন ( Yellowstone) । এটি হল পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সুপার আগ্নেয়গিরি। 

জৈব অস্ত্র 

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন মানুষের গবেষণার ফলে এমন কিছু ভাইরাস বা জীবাণুর সৃষ্টি হবে যা এক ভয়ঙ্কর রূপ নেবে। এর ফলে জীবজগতে এক ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। বর্তমান বিশ্বে যেমন করোনা ভাইরাস এক বিশাল আতঙ্কের নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন কিছু ভাইরাসের প্রভাবে গোটা জীবজগতকে ধ্বংসের মুখে পড়তে হবে। যার ফলে ধ্বংস হবে পৃথিবী ও। 

আরও পড়ুন - কত ধনী নেইমার ? - Neymar Car Collections - Neymar jr lifestyle

মহাজাগতিক বিস্ফোরণ 

 পৃথিবীর ধ্বংসলীলা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।  ধ্বংসের মুখে পড়তে চলেছে সৌরজগৎ সহ বিশ্বব্রহ্মাণ্ড। বিজ্ঞানীদের মতে - মহাকাশে এমন কিছু বিস্ফোরণ হচ্ছে যার প্রভাবে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে পুরো সৌরজগৎ। ইতিমধ্যে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন-  পৃথিবী থেকে মাত্র ৩৯ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে বিশ্বের বৃহত্তম বিস্ফোরণ ঘটেছে এবং তা সনাক্ত করা সম্ভব হয়ে। 

বিগ ব্যাং এর পর এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিস্ফোরণ। পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব অনেকটাই বেশি বলে এই বিস্ফোরণের ফলে পৃথিবীতে কোন আঘাত হানে নি । তবে ক্রমাগত মহাবিশ্বে এ ধরনের বিস্ফোরণ ঘটতে থাকলে পৃথিবী সহ সৌরজগতের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। 

সৌর ঝড় 

পৃথিবী টিকে থাকার জন্য সূর্যের উপস্থিতি প্রয়োজন। এটা খুব সাধারণ বিষয়।  সৌরশক্তি খুব দ্রুত পৃথিবীতে এসে পৌঁছায় যা পৃথিবীর প্রাণের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই সূর্যের রশ্মি থেকে নির্গত সোলার ম্যাক্স  যা সূর্য থেকে নির্গত হওয়া সবচেয়ে শক্তিশালী রশ্মি।  এই আলোকরশ্মি খুব দ্রুতই আঘাত হানতে পারে পৃথিবীতে। এর তাপপ্রবাহে জ্বলে পুড়ে ধ্বংস হতে পারে পৃথিবী। এমনটাই দাবি করেন বিজ্ঞানীরা।

আরও পড়ুন - বিশ্বের সবচেয়ে ৫টি মুসলিম শক্তিশালি দেশ। যাদের সামরিক শক্তি দেখে অনেক দেশ ভয়ে থাকে।







Previous Post Next Post