ভার্টিগাে কি?: হঠাৎ মাথা ঘুরানোর কারন কি?- Vertigo

 ভার্টিগাে কি?: হঠাৎ মাথা ঘুরানোর কারন কি?- Vertigo


ভার্টিগাে কি?: হঠাৎ মাথা ঘুরানোর কারন কি?- Vertigo

ভার্টিগাে কী? ভার্টিগাে হলাে মাথাঘারানাে। চোখের সামনে অন্ধকার।ঘিরে আসা বা হঠাৎই শরীরের ভারসাম্যহীনতা। ভার্টিগোেতে খুব মাথা ঘােরায়, মস্তিষ্কের পীড়া হয় এবং ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়। এই ভারসাম্যহীনতার কারণে ব্যক্তির মন আনচান করে, বমিবমি লাগে, প্রচণ্ ক্লান্তি অনুভবু করে আবার উচু জায়গায় বা স্থানে গেলে মাথা ঘােরায়।

অনেক সময় কান, মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতে সমস্যাও ভার্টিগাে হতে পারে। ভা্টিগাে যেকারও হতে পারে । জরিপে প্রকাশ সাধারণত ১৫% থেকে ৪০% মানুষ জীবনের কোনো না কোনাে সময় ভার্টিগো বা মাথাঘােরানাের শিকার হয়ে থাকেন।


ভার্টিগাের কারণ


ভার্টিগাের বিভিন্ন কারণ রয়েছে। ভার্টিগোের কারণ পেরিফেরাল বা কেন্দ্রীয় হয় তার উপর ভিত্তি করে সংজ্ঞায়িত করা যায়। ভার্টিগাের কেন্দ্রীয় কারণগুলাে মস্তিক্ক বা মেরুদণ্ডে উথিত হয়, যখন পেরিফেরিয়াল ভার্টিগাে কানের অভ্যন্তরে কোনাে সমস্যার কারণে হয়। পেরিফেরিয়াল কারণসমূহ
অভ্যন্তরীণ কানের স্ট্রাকচারগুলাে স্বতঃ্স্ফূর্তভাবে ফুলে উঠতে পারে। অভ্যন্তরীণ কানের অভ্যন্তরে সাধারণত পাওয়া যায় ছােট স্ষটিক বা পাথরগুলাে বাস্তুচ্যুত হতে পারে এবং অর্ধবৃত্তাকার খালের মধ্যে ছােট চুলের কোষগুলােকে জ্বালা করে ফলে ভার্চ হতে পারে। এটি সৌম্য প্যারােক্সিজমাল পজিশনাল ভার্টিগাে (বিপিপিভি) হিসেবে পরিচিত ভেস্টিবুলার নার্ভের সংক্রমণ মাথাঘােরা বা ভার্চির কারণ হতে পারে। একে ভেস্টিবুলার নিউরোনাইটিস, ভেস্টিবুলার নিউরাইটিস বা ল্যাব্রিস্থাইটিস বলা হয়। অভ্যন্তরীণ কানের মধ্যে এন্ডোলিফ্যাটিক সিস্টেমের কারণে রােগ হয়, ভার্চিয়াও যার মধ্যে শ্রবণশক্তি  কমে যাওয়া এবং টিনিটাস (কানে বাজানা) অন্তর্ভক্ত থাকে। এই তরল জমার কারণ অজানা। অ্যাসাস্টিক নিউরোমাস, ভস্টিবুলার নার্ভের টিউমারগুলােও এই তিনটি লক্ষণের সঙ্গে উপস্থিত হতে পারে।

ভার্টিগাের কেন্দ্রীয় কারণসমূহ( মাথা ঘােরানাের কারন)

দমন বা আঘাতজনিত মস্তি্কের আঘাতের সাথে ভার্চির সাথে জড়িত থাকতে পারে। স্ট্রোকের কারণে ভাটিগাে এবং সমন্বয় হাৃস হতে পারে। একাধিক স্ক্রেরোসিস মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডের টিউমারগুলাে ভেস্টিবুলার মাইগ্রেইন নামে পরিচিত একধরনের মইগ্রেইন মাথাব্যথার কিছু রােগী লক্ষণ হিসেবে ভার্টিগো বিকাশ করতে পারে।

1️⃣ Benign paroxysmal  positional vertigo(BPPV)
এর থেকে মাথা ঘোরানো ; মানুষ  যখন ঘুমায় বা পক্ষ পরিবর্তন করে, এতে কানের শিরাতে ক্যালসিয়াম কার্বনেটের ময়লা জমা হয়ে যায়। এই সমস্যা বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে দেখা যায় 

2️⃣ মেনিয়ার্স মেনিয়ারের রােগটি কানের অ্যন্তরের দিকে ঘট।
এটি শ্রবণশক্তিকে প্রভাবিত করে এবং অতিরিক্ত শব্দ শােনা
যায়, যার কারণে মাথা ঘুরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

3️⃣ ভেস্টিব্যলার মাইগ্রেইনুভেস্টিব্যলার মাইগ্রেইনের কারণ অতি সামান্য। মাথাব্যথা, মাথাঘোরানাে, এসব লক্ষণ অতি সামান্য এবং সবারই হয় থাকে। তারা একে-অপরের সাথে সংযুক্ত এবং স্বাধীন হয়। এই রােগীদের শ্রবণ জাতীয় কোনাে সমস্যা হয় না। প্রায়শই উজ্জল আলো এবং জোরে কণ্ঠ সহ্য করতে পারে না।

4️⃣ লেব্রিথিনাইটিস রােগে ভারসাম্য শিরা একটি ব্যাকটেরিয়া
সংক্রমণ হয়। যা এককানে বেশি শ্রবণ এবং অন্য কানে
বধিরতা সৃষ্টি করে। লক্ষণসমূহ ভার্টিগাে অনেক রোগের লক্ষণ বা উপসর্গ বটে। সাধারণত যেসব লক্ষণ পরিলক্ষিত হয়-

* অস্থির বা ভারসাম্যইীনবােধ করা

* পাহাড়, টিলা বা উচু জায়গা বা স্থানে গেলে মাথা ঘােরায়  ভয় পাওয়া

* শ্রবণ ক্ষমতার হাৃস বা কমে যাওয়া।

* মাথাঘােরা চিকিৎসা।

* সাধারণ ভার্টিগোতে চিকিৎসার প্রয়ােজন হয় না । যাদের
ভার্টিগাে লক্ষণ রয়েছে চিকিৎসকরা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ
কমাতে ওষুধের মধ্যে অ্যান্টিবায়াটিক দেন।

* গতিজনিত অসুস্থৃতা এবং বমিবমি ভাব প্রতিরোধের জন্য চিকিৎসক অ্যান্টইমিটিস্ক অথবা অ্যান্টিহিস্টামাইন ইত্যাদি ওষুধ দেন।

* ভেসিটুলে প্যারােসেমিয়া এটি হাড়ের অভ্যন্তরে চাপের কারণে ঘটে। এটার চিকিৎসা স্পান্টেনিয়াস নয়াসিটমগস
হাইপারভেন্টলেশন এর দ্বারা করে। এই চিকিৎসা হাড়ের
ভেতরে ভারসাম্য শিরার চাপ থেকে মুক্তি দেয়।

* কানের সমস্যার কারণে হল নাক, কান ও হেড নেক সার্জন
এর চিকিৎসা করে থাকেন।

Previous Post Next Post