নিজের অতীত এবং বাবার সৃতিতে কেঁদেছেন রোনালদো - Cristiano Ronaldo

নিজের অতীত এবং বাবার সৃতিতে কেঁদেছেন রোনালদো - Cristiano Ronaldo 

নিজের অতীত এবং বাবার সৃতিতে কেঁদেছেন রোনালদো 



বাবা এবং সেই মেয়েটি কে আজও খোঁজেন বলে একটি ইন্টারভিও এই তথ্যটি  জানিয়েছেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো  - যখন আমার  বয়স দশ অথবা এগারো ছিল আমার কাছে টাকা ছিলনা। আমরা স্টেডিয়াম পাশে যেখানে থাকতাম ওখানে একটা Mcdonald's ছিল। মাজে মাজে আমি তাদের দরজায় যেয়ে খাবার চাইতাম, এই যে আপনাদের কাছে কি অতিরিক্ত কোণ বার্গার হবে? ২-৩ মেয়ে ছিল যারা আমাকে খেতে দিয়েছিল। আমি ওই মেয়েদের আর খুঁজে পাইনি।

 আমি পর্তুগাল এর কিছু মানুষ কে বলেছি তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে। যখন আমি তাদের খুঁজে পাবো আমি অনেক খুশী হবো। আমি আশা করছি এই ইন্টারভিও টা তাদেরকে খুঁজে দিতে সাহায্য করবে।  আমি তাদেরকে আমার বাসায় ডাকতে চাই এবং তাদেরকে ডিনার এর আমনত্রন করতে চাই। আমি সেই বার্গার এর দাম দিতে চাই। একটি ইন্টারভিও তে এভাবেই নরম স্বরে কঠিন সময়ের কথা তুলে ধরলেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। 

ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো

ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো


 ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো বিশ্ব জুড়ে মানুষের কাছে একটি ভালবাসার নাম। তার পুরো নাম - Cristiano Ronaldo Dos Santos Aveiro ।  ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর জন্ম February 5,1985 । পরতুগালের পশ্চিমে অবস্থিত মাদিরা নামক স্থানে তার জন্ম। শৈশব থেকেই অভাব অনটনের মাজে  ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর বেড়ে উঠা ।  ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো  তার ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট তিনি। তার মা ছিলেন একজন রাঁধুনি আর বাবা ছিলেন বাগানের মালী। স্কুলের সহপাঠীরা তাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করত কারন তার বাবা ওই স্কুলের পরিছন্ন কর্মী হিসেবে মাজে-মধ্যে কাজ করত।

Cristiano Ronaldo Football Statistics


 দারিদ্র আর অপমানের জন্য  ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো বেছে নেন ফুটবল। হাতের কাসে একবার ফুটবল ফেলেই আর কিছুই লাগতনা তার। সব কষ্ট ভুলে যেতেন। এতটাই খেলার পাগল ছিলেন যে ঘুমানোর সময় ফুটবল জড়িয়ে ধরে ঘুমাতেন। পড়ালেখায় একদমি মন ছিলনা তার। মাত্র ১০ বছর বয়সে  ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো  তার নিজ এলাকায় মাদিরার একটি ফুটবল ক্লাবে যোগদান করেন। ১২ বছর বয়সে পর্তুগালের অন্যতম ক্লাব স্পোর্টিং বিসবনে খেলার সুযোগ পান।

 কিন্তু একটা সমস্যা তাকে পাড়ি জমাতে হবে পর্তুগালের রাজধানীতে। ছোট বয়সেই  ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো কে বাবা মাকে ছেড়ে একা একা থাকতে হয় সেখানে। তাদের কথা মনে করেই প্রতি রাতেই কান্না করতেন  ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো । ফুটবল খেলে ভালই সময় যাচ্ছিল কিন্তু ১৫ বছর বয়সে একটি ডাক্তারি পরীক্ষায় তার একটি কঠিন রোগ ধরা পরে।  ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর হার্টবিট স্বাভাবিক এর থেকে বেশি থাকে। খেলাধুলা করার সময় এমনিতেও মানুষের হার্টবিট বেড়ে যায়।

আর এমন অসুখ থাকলে তো খেলার কথা কল্পনাই করা যায়না। ডাক্তাররা ছাপ জানিয়ে দিলেন  ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর আর খেলাধুলা হবেনা। দাক্তারদের কথাকে ভুল প্রমান করে কয়েক মাসের মধ্যেই খেলায় ফিরে এলেন তিনি। ২০০৩ সালে মাত্র আঠারো বছর বয়সে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো Manchester United এর সাথে চুক্তি করেন ১২ মিলিয়ন পাউন্ড এর বিনিময়ে। তিনি ক্লাবটির ইতিহাসে প্রথম পর্তুগিজ খেলোয়াড় ছিলেন। ২০০৮ সালে ফিফার সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন। এমনকি ৩ টি প্রিমিয়ার লীগ জিতাতে সহায়তা করেন Manchester United কে। 

২০০৯ সালে তিনি রিয়াল মাদ্রিদে পাড়ি জমান রেকর্ড ১৩১ মিলিয়ন ডলার এর বিনিময়ে। তারপর জুভেন্টাস এখন আবার নিজের প্রথম ক্লাব Manchester United এই ফিরে গেছেন রোনালদো। রোনালদো এমন বিলাসবহুল আমোদ-প্রমোদ এর মাজে থেকেও কখনো মদ্যপান করেন না। রোনালদোর বয়স যখন ১৪ বছর তখন তার বাবা মদ্যপানে আসক্ত হয়ে পরেন। সংসারে অসান্তি লেগেই থাকত। রোনালদোর বয়স যখন ২০ বছর তখন তার বাবাকে হারান। 

রোনালদো কত টাকার মালিক

জানা যায় অতিরিক্ত মদ্যপানের কারনেই তার বাবা মারা যায়। ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো আক্ষেপ করেন তখন আমার অর্থ ছিলনা কিন্তু আমার বাবা ছিলেন। আজ আমার সব আছে কিন্তু বাবা নাই। সেই থেকেই ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় অপছন্দ করতেন। ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর শরীরে কোণো Tattoo করা নাই কারন তিনি নিয়মিত রক্তদান করেন। ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো যত টাকার মালিক ই হওন না কেন নিজের অতীতকে কখনো ভুলেন নি। 



1 Comments

Previous Post Next Post